আমাদের বাউফলকনকদিয়া

বাউফলে ব্যবসায়ী শাহীন আলমকে হুমকি, জমি দখল

বাউফল প্রতিদিন ডট কম: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চালাচ্ছে দেশ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নানা সংকট চিহ্নিত করে সমাধানে নজর দিবেন তারা এমন ঘোষণা ইতোমধ্যে এসেছে। কিন্তু সারাদেশে জমি দখল, হুমকি ধামকি থেমে নেই। দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষদের এক আতংকের নামে পরিণত হয়েছে।

এমন পরিণতি থেকে বাদ যায়নি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাও। কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশার জয়গোড়া গ্রামের ব্যবসায়ী শাহীন আলম। তিনি একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। গত ৫ আগষ্ট তার গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন সুমন খান নামের এক যুবক। তার পিতার নাম মোকলেস খান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন শাহীন আলমকে ফোন করে প্রথমে কুশলাদি বিনিময় করেন সুমন খান। পরে শাহীনের মা-বাপ তুলে গালি দেন। এক পর্যায়ে শাহীনকে ৩ টুকরা করে হত্যার হুমকি দেন সুমন খান। যার কল রেকর্ড তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল প্রতিদিন ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে অভিযুক্ত সুমন খানকে ফোন করা হলে তিনি জানান, শাহীনের সাথে তার কোনো ঝামেলা নেই। প্রশ্ন করা হয় আপনি তাকে ৩ টুকরো করার হুমকি দিয়েছেন যার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। উত্তরে সুমন বলেন, রেকর্ড থাকলে প্রুভ করতে বলেন। পরে সুমন ফোন কেটে দিলে তার সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

এদিকে ব্যবসায়ী শাহীন আলমের রেকর্ড করা সম্পত্তি দখলেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জয়গোড়া গ্রামের বশির খানের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। তার পিতার নাম মৃত অজেদ খান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বশির খান ৫ কড়া জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন, যার কোনো রেকর্ড নেই।

এ বিষয়ে বাউফল প্রতিদিন ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে অভিযুক্ত বশির খানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার সম্পত্তি আমি বুঝে নিয়েছি। আমার জমির দলিল আছে। কিন্তু রেকর্ড নেই। প্রশ্ন করা হয় রেকর্ড না থাকলে আপনি জমির দাবি করতে পারেন? জবাবে তিনি বলেন, ৭১ এর স্বাধীনতার আগে দলিল থাকলেই হলো আর কিছু লাগবে না।

ব্যবসায়ী শাহীন আলম বলেন, আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সুমন খান। এছাড়া আমার রেকর্ডি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করেছেন বশির খান। আমি জানিনা আমার কি অপরাধ। এলাকাবাসী আমার সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক ধারনা রাখেন। তবে হুমকিদাতা এবং দখলবাজরা উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমার পিছু লেগেছে। এতে আমি মানসিকভাবে আতংকে আছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *