আমাদের বাউফলবাংলাদেশরাজনীতিসারাদেশ

সাবেক এমপি ফিরোজের এপিএসের ব্যাংকে এত টাকা কোথা থেকো এলো?

বাউফলের সাবেক এমপি আসম ফিরোজের সাবেক এপিএস, উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের একটি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ব্যাংক এশিয়ার ঢাকা শ্যামলী শাখার এসি ০৫৫৩৪০০৩৬৫২ হিসাবে এক স্টেটমেন্টে এ অস্বভাবিক লেদেনের প্রমান পাওয়া গেছে।

২১ নবেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই হিসাবে তিনি ৬ কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ৪৬ টাকা লেনদেন করেছেন এবং ওই দিন পর্যন্ত তার ব্যাংক হিসাবে ২লাখ ১০ হাজার ৭শ ১৭ টাকা ২৭ পয়সা জমা দেখা হয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি ওই হিসাবে থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।

আনিছুর রহমান ১৯৯৪ সাল থেকে ৩০ বছর বছর সাবেক এমপি আসম ফিরোজের এপিএস হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে সাবেক এমপি ফিরোজের এপিএস থাকাকালীন সময় তিনি অবৈধ ভাবে টাকা কামিয়েছেন। ব্যাংক এশিয়া ছাড়াও বাউফলসহ ঢাকায় তার ও তার স্ত্রী স্বজনদের নামে বেনামে আরও ব্যাংক হিসাব থাকতে পারে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, তার সিংহ ভাগ টাকা বাউফলে তার এক ঘনিষ্ট আত্বিয়ের রডও সিমেন্টের ব্যবসায় খাটিয়েছেন। তার ওই আত্বিয় অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলনা। তিনি রাতারাতি তিনি কোটিপতি হয়ে বনে গেছেন। স্থানীয়রা ধারণা করছেন তার এই টাকার উৎস্য হচ্ছে এপিএস আনিচুর রহমান।

উপজেল বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, ‘একজন এপিসের একটি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদের বিষয়টি সত্যিই ভাবার বিষয়। আমরা তার এ অস্বাভাবিক ব্যাংক হিসাবের উৎস জানতে চাই এবং দুদুকের তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

পৌর ছাত্র দলের সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, ‘সম্প্রতি আনিছুর রহমান বাউফলে এসে জনরোষে পরেন। এসময় তার মানিব্যাগের মধ্যে ব্যাংক এশিয়ার টাকা লেনদেন এ হিসাবটি পাওয়া গেছে।

একমাত্র আল্লাহ ও তিনিই ভালো জানেন কত ব্যাংকে তার কত কোটি টাকা জমা রয়েছে। তিনি এপিএস আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রীর সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত দাবি করেছেন।’

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য এপিএস আনিছুর রহমানের মোবাইল নম্বরে কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *