জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) অহি প্রাপ্তির পূর্বেই যৌবনকালে সমাজ এবং রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। হিলফুল ফুজুল নামে বিশেষ সংগঠন করেছিলেন।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, রাজনৈতিক বিবেধ, হিংসা, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ করার জন্য রাসুল (সা)- এর ওই সংগঠন হিলফুল ফুজুলের ধারাবাহিকততায় সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিনির্মাণ ও নিরাপত্তার জন্য আমাদের যুবক ভাইদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। বৈষম্যহীন নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের দায়িত্ব নিতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন যুব বিভাগের আয়োজনে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি চাই বৈষম্যহীন, হানাহানি, বিভেদ, বিদ্বেষ ও মাদকমুক্ত সুশিক্ষিত নতুন এক বাউফল। তরুণ এবং যুবকদের হাতেই আগামীর নতুন বাউফল গড়ার পতাকা তুলে দিতে চাই আমরা।
আপনাদের মনে আছে ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্টের আন্দোলন ছিল ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ব্যাংক ডাকাতদের বিরুদ্ধে, শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে, আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠনকারী ও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে যারা পাহাড় গড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে, গুলি করে যারা গণহত্যা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, ওই অন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও লড়াই করে যারা শহীদ হয়েছেন সেই আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধরা প্রমাণ করেছেন জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী আমাদের ভাইয়েরা ছিলেন তরুণ এবং যুবক।
তাদের অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে আমাদেরকেও যদি জীবন বাজি রাখতে হয়; তবে এই যুব সমাবেশে অঙ্গীকার করে যেতে চায় প্রয়োজনে আবু সাঈদ- মীর মুগ্ধদের মতো যুবক ও তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আমরাও তাদের কাতারে শামিল হতে পিছ পা হবো না। আবু সাঈদ-মীর মুগ্ধদের অর্জিত নতুন স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেব না।
উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মো. রাসেল মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সময় জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুস সোবহান, উপজেলা আমির মো. রফিকুল্লাহ, মো. আবুল কাশেম, মো. খাইরুল কবির, মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Leave a Reply