আদর্শবান ব্যক্তির দল আ.লীগ হতে পারে না : সৈয়দ ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মান্দার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না।
যারা গত ৫ আগস্টের পর লুটপাট জুলুম অত্যাচার করেছে তাদের মাধ্যমে কখনো দেশ ভালো হতে পারে না। দেশে মামলা শুরু হয়ে গেছে।
৫ তারিখের পর যারা মিথ্যা মামলা, লুটপাট, জুলুম ও অত্যাচার করছেন তাদের মধ্যে আর আ.লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আ.লীগের মধ্যে যারা ডাকাত না, জালেম না, অত্যাচারী না তাদের অত্যাচার করা যাবে না।
যারা আ.লীগ করেছিলেন, যারা আদর্শবান আমি ওইসব ভাইদের বলব- মনে রাখবেন আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আ.লীগ হতে পারে না। সময় আছে তওবা করুন। এমন দেশ আর আমরা চাই না।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে সোনারগাঁ উপজেলা শাখার আয়োজনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন- আমাদের সঙ্গেই সিঙ্গাপুর ও মালোয়শিয়া স্বাধীন হয়েছিল। আজ তাদের অবস্থা দেখেন আর আমাদের অবস্থা দেখেন। এর কারণটা কোথায়? দুর্নীতি! এস আলম গ্রুপ কী করেছে জানেন? সে আটটা ব্যাংক কীভাবে দখল করেছে?
এক ব্যাংক থেকে ২শ কোটি নিয়ে আরেক ব্যাংকে দিয়েছে, আবার ওই ব্যাংক থেকে ৫শ কোটি নিয়ে আরেক ব্যাংকে দিয়েছে। মালিক গ্যাম খেলে সেসব ব্যাংক দখল করেছে। আর তার পরিবার সেখান থেকে দুই-তৃতীয়াংশ টাকা বিদেশে পাঁচার করেছে। আপনারা যদি বলেন আজ টাকা তুলে নিবেন তাহলে সমস্ত ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যাংকের অবস্থা একদম খালি।
পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি আমাদের টাকা দিয়ে নাকি পদ্মা সেতু করেছে। কয়েকদিন পর দেখলাম পদ্মা সেতুর কিস্তি দেওয়ার সময় এসে গেছে। এতোদিন জেনেছি আমাদের টাকা এখন শুনি কিস্তির টাকা। সব জায়গায় ধোঁকাবাজি, সব জায়গায় লুকোচুরি। আমাদের প্রত্যেকের মাথার ওপর দেড় লাখ টাকার ঋণ অথচ আমরা জানি না। টাকা আপনার-আমার আর চুরি করছে তারা। আর হবে না, আমরা আর মানব না। আমরা শুধু নেতা চাই না, নীতির পরিবর্তন চাই।
ইসলামী আন্দোলনের সোনারগাঁ থানার সভাপতি হাজী নুরুল আমিন খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।
এসময় গণসমাবেশে জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং গত ১৬ বছরে সংঘটিত রাজনৈতিক, প্রশাসনিক হত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার, দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলামসহ আরও উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমদাদুল হাসেমী, জেলার ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ যুবায়ের হোসাইন, জেলার ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলার ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী এবং সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতারা।